চট্টগ্রাম নগরবাসী জলাবদ্ধতায় দুইদিন আটকে থাকারও দুইদিন পর ঘুম ভেঙ্গেছে সংশ্লিষ্টদের। ‘চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ নিরসনে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত বিশেষ সভা’ ডেকে চারজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জলাবদ্ধতার কারণ খুঁজতে!
বুধবার (২২ জুন) বিকেলে চসিকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভা শেষে চার জনের নাম ঘোষণা করেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। সভায় সভাপতিত্ব করেন মেয়র রেজাউল।
বৈঠকে সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মো. শাহজাহান, সিএমপি কমিশনার সালেহ মো. তানভীর, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. রমজান আলী প্রামানিক, বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসাইন খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক বদিউল আলম প্রমুখ।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসকে আহ্বায়ক এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া সদস্য হিসেবে থাকবেন জলবাদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী ও চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী।
সভায় চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুর বলেন, এবার আমরা ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছি। জনগণ ভোগান্তির শিকার হয়েছে। আজকে বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা এখানে উপস্থিত আছেন। এ জলাবদ্ধতা থেকে আমরা কীভাবে জনগণকে মুক্তি দিতে পারি সে দায়িত্ব সিডিএ-সিটি করপোরেশনের ওপর বর্তায়। ১০ দিনের মধ্যে এই কমিটি পুরো শহর ঘুরে জলাবদ্ধতার কারণ খুঁজে বের করবে। পাশাপাশি যেখানে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সে প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পরস্পরের প্রতি কোনো দোষারোপ করার সুযোগ নেই। জনভোগান্তিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কী করা প্রয়োজন তা করাই আমাদের প্রধান কর্তব্য।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে আশু পদক্ষেপ গ্রহণে গঠিত কমিটি দ্রুততার সাথে সমস্যা চিহ্নিত করে জরুরি ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে জনভোগান্তি রোধ করার জন্য সকল সেবা সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, সম্প্রতি অতি বর্ষণের কারণে সৃষ্ট দীর্ঘ সময়ের জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রামবাসীকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সামনে আরো ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।