চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. আবু রেজা নদভীর বিরুদ্ধে সরকারি গানম্যান নিয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেবের প্রতীক ‘ঈগল’ নিয়ে নদভীর দুই সমর্থকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) বিকৃত ছবি পোস্ট করে আপত্তিকর মন্তব্য লেখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আব্দুল মোতালেব এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নিকট পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মোতালেবের দায়েরকৃত প্রথম অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু রেজা নদভীর নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে সরকারি গানম্যান মামুন মিয়া সার্বক্ষনিক তাঁর (নদভী) সাথে থেকে ভোটার ও মোতালেবের সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মামুন মিয়া নগদ টাকা বিলি করছেন। যা আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ১৪ (২) এর সুস্পষ্ট পরিপন্থি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
দ্বিতীয় অভিযোগে মোতালেব বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী নদভীর প্রত্যক্ষ সমর্থন ও ইন্ধনে তাঁর (নদভী) শ্যালক চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী ও এডভোকেট কামাল উদ্দীন তাদের ব্যবহৃত ফেসবুক ভ্যারিফাইড পেইজ থেকে কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে মোতালেবের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে নির্বাচনী শৃঙ্খলা পরিপন্থি, মানহানিকর, কটূক্তি ও বেআইনী বক্তব্য ও বিতর্কিত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছে। এ সব বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নদভীকে বিভিন্ন মাধ্যমে এসব কর্মকান্ড বন্ধের অনুরোধ করলেও তিনি কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়া নদভীর শ্যালক রুহুল্লাহ চৌধুরী আজ (সোমবার) তার ফেসবুক আইডি থেকে ঈগলের ছবি বিকৃত করে একটি পোস্ট দেন। এতে লিখেন-‘বর্তমানে ঈগলের উপর সব কাওয়া সওয়ার হয়েছে’। এরাই বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে খামছে ধরেছে, যাতে জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যেতে না পারে। একই সাথে নদভীর সমর্থক এডভোকেট কামাল উদ্দীন ২১ ডিসেম্বর ২টি ও ২৩ ডিসেম্বর নিজস্ব ফেসবুক পেইজ থেকে ১টি পোস্ট শেয়ার করেন। এতে লেখা ছিল- ‘হায়রে ঈগল!! মারা গেল।।’ যাতে মৃত ঈগলের ছবি ও ঈগল প্রতীককে ছোট করে ও কটাক্ষ করা হয়। এ পোস্টের বিভিন্ন কমেন্টস এ নির্বাচন কেন্দ্রিক পক্ষ-বিপক্ষে বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। উক্ত কর্মকান্ড রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধি লঙ্ঘনের পরিপন্থি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে নির্বাচনী পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্ন ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন আব্দুল মোতালেব।
প্রথম ও দ্বিতীয় অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) সহকারি রিটার্নিং কমকর্তা ও দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) যথাক্রমে মোহাম্মদ ইনামুল হাসান ও মিল্টন বিশ্বাস অভিযোগ প্রার্থীর বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারি জজ শাহনেওয়াজ মনির এর কার্যালয়ে লিখিতভাবে পাঠানো হবে। তিনি বিষয়গুলো তদন্ত পূর্বক কমিশনকে জানাবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিবেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।