‘নদভী নির্বাচনী মাঠ থেকে পালিয়েছে’

আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর চেহারা মলিন হয়ে গেছে। তাই তিনি নির্বাচনের মাঠ থেকে পালিয়ে ঢাকায় ধরনা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে সাতকানিয়া উপজেলার আলুরঘাট এলাকায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেবের নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসনটিতে এম এ মোতালেব ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানের অভিযোগ, এমপি হওয়ার জন্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। আমাদের এমপি (নদভী) আওয়ামী লীগের অফিস ছেড়ে হাইকমিশনে হাইকমিশনে ঘুরছেন। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। তিনি এমনটি করছেন, তারা যেন তাকে এমপি করে দেয়। সব খেলা শেষ। আলুরঘাটের মানুষদের ভয় দেখাচ্ছেন, ভোটকেন্দ্রে না যেতে, সেটা হবে না। জনগণ ঈগল মার্কায় ভোট দিতে কেন্দ্র যাবে, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, নদভীর গার্ডম্যান মামুন মিয়া হাতে অস্ত্র দিয়ে মানুষকে ভয় দেখাতেন। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়ার পর প্রত্যাহার হয়ে গেছেন। আমাদের এমপিকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। কোনো লাভ নেই, প্রধানমন্ত্রীর দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদেশিদের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। বাঁশি আর বাঁজে না, ৭ তারিখ খেলা হবে। গত ১০ বছর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় দুর্নীতি-লুটপাট হয়েছে। এলাকা চালিয়েছেন বেগম সাহেবা। আগামী ৭ তারিখ এই বেগম সাহেবার পতন হবে।

নৌকার নদভী ও ঈগলের মোতালেব ছাড়াও আসনটিতে মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলী হোসাইন, হাতঘড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ছালেম, মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ হারুন এবং ছড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. জসিম উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।