নিম্নমানের মরিচের সাথে রং মিশিয়ে টকটকে লাল গুঁড়া মরিচ তৈরি, সিলগালার পর জরিমানা ৩ লাখ

চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জের আলম ক্রাসিং মিলে নিম্নমানের নষ্ট হয়ে যাওয়া মরিচের সাথে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করা হতো টকটকে লাল গুঁড়া মরিচ। কোরবানির ঈদসহ বিভিন্ন সময় বাজারে ছাড়া হতো এসব মরিচের গুঁড়া। তবে জাতীয় অধিদপ্তরের নজর এড়াতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। সিলগালার পর এবার প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে অভিযান চালিয়ে মিল মালিক থেকে এই জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ওই দোকান মালিক থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয়। অভিযানে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান এবং নাসরিন আক্তারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গত কোরবানির আগে মশলার বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। সে সময় আলম এবং তাহের নামে দুই মালিকের দুই প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আজকে সে মিল মালিক থেকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া তাহেরের মিলকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মঙ্গলবারের অভিযানে নগরীর বক্সিরবিট কাঁচা বাজারে মূল্যতালিকা না থাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে কোতোয়ালী থানা এলাকার দুটি ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে ১৪ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার বলেন, আমরা আগেই প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ করে দেই। প্রতিষ্ঠানটিতে নষ্ট মরিচের সাথে বিভিন্ন ডায়িং রং মিশিয়ে চকচকে মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করা হতো; যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

তিনি বলেন, আজকে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপর প্রতিষ্ঠানটি এখনও সিলগালা রয়েছে। আমরা সেটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া পরবর্তীতেও প্রতিষ্ঠানগুলো নজরদারিতে থাকবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।