প্রায় ২৭ বছর নিরুদ্দেশ থাকা হাসান ঘরে ফিরেই স্ত্রী সন্তানদের হাতে খুন হয়েছেন! গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাসান বাঁশখালী থেকে নগরীর ইপিজেড থানার আকমলআলী সড়ক এলাকায় ছেলের বাসায় আসেন। সেখানে আগ থেকেই ছিলেন তার স্ত্রী। হাসান আসার পর তাকে আর কেউ বের হতে দেখেননি। তবে তার মরদেহ বের হয়েছিল ৮ খন্ড হয়ে!
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পিবিআই হাসানের পরিচয় শনাক্ত করে হত্যা রহস্য উদঘাটনের পর প্রতিবেশীদেরও হতবাক করেছে এমন ঘটনা।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হাসান দীর্ঘদিন পরিবার থেকে আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঘরে ফিরেন। ঘরে ফেরার পর থেকে স্ত্রী ও সন্তানরা তার সম্পত্তি তাদের নামে হস্তান্তরের চাপ দেয়। কিন্তু হাসান একমত না হওয়ায় তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। আমরা তার স্ত্রী ও বড় ছেলেকে হেফাজতে নিয়েছি।
নিহত হাসান বাঁশখালীর কাথারিয়ার সাহেব মিয়ার ছেলে। এনআইডি কার্ড অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৩ মার্চ ১৯৬১। হাসান দুই ছেলে এবং এক মেয়ের পিতা।
শনিবার পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর একটি টিম আকমল আলি সড়ক সংলগ্ন খাল থেকে তার দেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তার বস্তাবন্দি হাত-পা উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। পতেঙ্গা থানা পুলিশ ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এনআইডি ডাটার জন্য পাঠিয়েছিল।
হাসানের স্ত্রী চিকিৎসার কথা বলে ছেলে বাসায় আসেন। সেই বাসার দারোয়ান এবং প্রতিবেশীরা জানান, হাসানকে তারা ১৮ সেপ্টেম্বর ওই বাসায় ঢুকতে দেখেছেন, আর বের হতে দেখেননি।
পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, কয়েক দিনের সিসি ক্যামরার ফুটেজেও হাসানের যাতায়াত ধরা পড়েনি। তাই ধারণা করা হচ্ছে ১৮ সেপ্টেবরই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর লাশ গুমের জন্যই স্ত্রী সন্তানরা তা টুকরো টুকরো করে একাধিক স্থানে ফেলেছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।