স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ স্মৃতি মাটির ঘরে দীর্ঘ ১৫ বছর কাটিয়েছেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার খুরশিদা বেগম। একমাত্র মেয়ের বিয়ের পরে একাই থাকতেন সেই মাটির ঘরে। উপার্জন করার মতো কেউ না থাকায় নিজেই কুটির শিল্পের কাজ করে কোন রকম চলতো। কাজ না থাকলে অন্যের বাড়িতে কাজ করে চালাতে হতো নিজের ছোট্ট সংসার।
তবে এবার সেই ছোট্ট মাটির ঘরটিও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দেড়টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ নোয়াগাঁও (ফখীরখীল) এলাকায় বৈদ্যুতিক মিটারে আগুনের পুড়ে যায় ৩টি কাঁচা ও ১টি সেমিপাকা বসতঘর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা আলকমা বেগম, খুরশিদা বেগম, মো. ওসমান, মো. লালু মিয়া।
খুরশিদা বেগম জানান, সোমবার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ ভোর সকালে শুনতে পাই আমার বাড়িতে আগুন লেগেছে। আমি যখন বাড়ি এসে পৌঁছাই তখন সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়
তিনি বলেন, আমার স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ স্মৃতিটুকু রক্ষা করতে পারিনি। আমাকে এখন খোলা আকাশে নিচে থাকতে হবে। দেশ-প্রবাসে যারা আছেন সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যাতে বাকি জীবনটা কোন রকম কাটাতে পারি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বলেন, মধ্যরাতে আগুনের খবর শুনতে পেয়ে আমি ও স্থানীয়রা মিলে সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি, কিন্তু বৈদ্যুতিক তার থাকার কারণে কেউ সামনে যায়নি। পরে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে যায় হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সুমন বলেন, এ ঘটনায় ৪ পরিবারে দীর্ঘদিনের বসতবাড়ি পুড়েছে। পাঁচ জনের বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।