বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, চট্টগ্রামে নৌ তদন্ত কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে এ এলাকার পাশাপাশি নৌ এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আমাদের সদস্যরা সহজভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এতে করে বন্দরের কার্যক্রমের গতিশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।
আইজিপি রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচরে ‘ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব বলেন।
আইজিপি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনি। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা সবসময় জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করি। দুই লাখ সদস্যের এ বিশাল বাহিনী সরকারের বিধিবিধান মেনে আমরা শৃঙ্খলা বজায় রাখি। আমাদের সদস্যরা যথাযতভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ঈর্শনীয় একটা পর্যায়ে অবস্থান করছি।
ঢাকার বংশালে পুলিশ হেফাজতে বডি বিডারের মৃত্যুর ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, যেকোনো মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের হেফাজতে যদি মৃত্যু হয় তাহলে এটার একটা প্রটোকল আছে সেটা আমরা অনুসরণ করি। কাউকে ছাড় দেওয়ার নীতি অবলম্বন করিনা। যে দায়ী হবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনা সংগঠিত হলে সাথে সাথে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল ও পোস্টমর্টেম হয়ে থাকে। এসবের প্রতিবেদনের মাধ্যমে যে তথ্য বেরিয়ে আসে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলমান সহিংসতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিজিবি কাজ করছে। আমরা বিজিবির সাথে একসাথে কাজ করছি।
বিজিবি আমাদের কাছে যে সহযোগিতা চাইবে আইনানুগভাবে আমরা বিজিবিকে সে সহযোগীতা দিবো।
পুলিশের নজরদারির পরও বাসাবাড়িতে স্বর্ণ চুরির ঘটনা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, একটা ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, আমাদের লোকও যদি বিচ্চুত আচরণের সাথে জড়িত হয় তাকেও ছাড় দিচ্ছিনা। যেকোন ঘটনা যারাই করুক কাউকে ছাড় দিচ্ছিনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালামালও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি ৭০ শতাংশ স্বর্ণ উদ্ধার করেছি। আমাদের সামর্থ অনুযায়ী মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া, উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, এসএম মোস্তাইন হোসাইন, আলী হোসেন, শাকিলা সুলতানা, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।