পটিয়ায় প্রত্যয়ের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠান

পটিয়া প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবীন্দ্র ও নজরুল বন্দনা, কবিতা, গান, নৃত্য ও কথামালার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠানটি।

পটিয়া ক্লাব মিলনায়তনে একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবির সঞ্চালনায় শনিবার (২১ মে) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রত্যয়ের নির্বাহী সদস্য আবৃত্তি শিল্পী প্রণব চৌধুরী।

একাডেমির উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ ও সমাজচিন্তক অধ্যক্ষ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নাট্যজন ও সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজী।

তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি বা মহাজ্ঞানী ভাবলে রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে আপন হবে না। রবীন্দ্রনাথকে ভাবতে হবে বন্ধু হিসেবে, কাছের মানুষ হিসেবে। তবেই রবীন্দ্রনাথ আবেগ, ভালোবাসা ও চিরন্তন সত্তা হিসেবে আমাদের কাছে আসবে।

তিনি আরো বলেন, নজরুলকে চিন্তা করতে হবে সাম্যের কবি হিসেবে। প্রগতির কবি হিসেবে। তখন তিনি সাম্য, জাগরণ ও প্রগতির ধারক হিসেবে আমাদের কাছে আসবে। তাঁরা দুইজনই সম্প্রীতি, সংস্কৃতি, সাম্য ও স্বাধীনতার বার্তা বহন করে গেছেন।

কবি ও প্রাবন্ধিক কামরুল হাসান বাদল বলেন, বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বাংলা গান, সাহিত্য ও শিল্পকর্মকে পৃথিবীর কাছে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নজরুল ইসলামও সাম্য ও দ্রোহের মাধ্যমে বাঙালির জাগরণ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। তাঁরা দুইজনই তাদের সৃস্টি ও কর্ম দিয়ে বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

রাজনীতিবিদ বিজন চক্রবর্তী বলেন, রবীন্দ্র-নজরুলের চেতনা মানুষকে বরাবরই আলোর পথ দেখিয়ে যাবে। দুই কবির চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই সরকারি উদ্যোগ। স্কুলে-কলেজে রবীন্দ্র কিংবা নজরুলের গান গাইতে ও পরিবারের সন্তানদের তাদের লেখা বই পড়তে উৎসাহিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক শান্তপদ বড়ুয়া, ব্যাংকার রোকন উদ্দীন,এমরান হোসেন রাসেল।

অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন অসীম শর্মা, শিমুল মল্লিক, শিবু মল্লিক, অগ্নিলা শর্মা দিয়া। আবৃত্তি ও ছড়া পাঠ করেন ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, প্রণব চৌধুরী, অর্পণ চক্রবর্তী, হামীম রায়হান। দলীয় গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।