আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নে ভোটের প্রচারনার শেষ দিনে সংঘর্ষের জেরে আগেই আতঙ্কের কথা জানিয়েছিলেন ভোটাররা। আর সেই আতঙ্কের রেশ কাটেনি ভোট শুরু হওয়ার চার ঘন্টায় ভোট কেন্দ্রে ভোটারের দেখা নেই।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত বহিরাগতরা দিব্যি অনায়াসে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য দেখা গেলেও ৯টি কেন্দ্রের দায়িত্বরতদের সাথে আলাপ করে দেখা গেছে সবগুলো কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি দুই/একজন করে আছে। তবে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারও বাড়বে।
বুধবার (১৫ জুন) সকাল আটটা থেকে সরেজমিনে চট্টগ্রামের আনোয়ারার পরৈকোড়া ইউনিয়নের উপনির্বাচনে পরৈকোড়া, রমজান আলী, কৈখাইন, পূর্বকন্যারা, মাহাতা, তালশরা, মাহাতা পাঠনী কোটা, শিলালিয়া ও ঔষখাইন ইউসুফ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের দৃশ্য এমনই ছিল। সবকটি কেন্দ্রের ভেতরে নৌকা প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীর কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি।
তবে কৈখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৩৪ জন, ঔষখাইন ইউসুফ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৬৬০ জন ভোটার থাকলেও দুই কেন্দ্রে মিলে ৫টি ভোট গ্রহণ।
কৈখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা বিআরডিবি সিরাজুল মওলা জানান, সকাল থেকে এ পর্যন্ত এ কেন্দ্রে শুধুমাত্র ভোট দেন ২ ভোটার। এখানে ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৩৩৪ জন।
এদিকে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, নৌকা মার্কার প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী বাবুলের বিপুল সংখ্যক লোক কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে কিশোর, তরুণ এবং বয়স্ক ব্যক্তিদেরকেও দেখা গেছে। এদের অনেকেই ভোটার নয়; কিন্তু তারাও ভোট কেন্দ্রে অবাধে বিচরণ করছেন। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অনেকটা নির্বিকার দেখা যায়। বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ বা প্রবেশের ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দিতে দেখা যায়নি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল্লাহ্ খান মুমিন বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি কোথাও। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য এবং ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল টিম এলাকায় টহল দিচ্ছে
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।