অবশেষে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অপেক্ষার প্রহর শেষ করেন চট্টগ্রামে দিতে ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে এসে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একটু পরেই তিনি সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি সমাবেশে এসে উপস্থিত হোন। এসময় নেতা-কর্মীদের দিকে হাত বাড়িয়ে অভিবাদন জানান তিনি।
এর আগে আজ সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নামেন। পরে সিআরবি হয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে আসেন তিনি। মাঠে এসেই ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং চার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সমাবেশ শুরুর আগেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে পলোগ্রাউন্ডে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো ময়দান। ময়দানের বাইরে আশাপাশের সড়কগুলোতেও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান করছেন।
ঢাক-ঢোল, বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে জনসভা মাঠে আসেন তারা। বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা গায়ে নানা রঙের রঙিন জামা, মাথায় ক্যাপ পরে আসেন। বিভিন্ন ইউনিটের রঙিন পোশাকের বর্ণিল রঙে সেজেছে পুরো মাঠ ও আশপাশের বিভিন্ন সড়ক।
পলোগ্রাউন্ড ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকা প্রতিকৃতির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বিরাট মঞ্চ। লাল-নীল, সবুজ, সাদা, হলুদসহ নানা রঙের বেলুনে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো মাঠ।
নিরাপত্তার জন্য বাঁশের বেরিকেড দিয়ে কয়েক স্তরে ভাগ করা হয়েছে জনসভা মাঠকে। মঞ্চ ও মঞ্চের আশপাশের ব্লকগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বাস্তবায়িত ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৪ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।