বৃষ্টির পানি আর কর্ণফুলী নদী থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে কর্ণফুলীর জুলধা-শিকলবাহা ইউনিয়নের নির্মাণাধীন সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে গেছে। যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে পাশের দুই ইউনিয়নের সাথে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারও মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) জুলধা-শিকলবাহা ইউনিয়নের সংযোগ সড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,, দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ সড়কের উপর গার্ডার নির্মাণ কাজ চলছে। পানির স্রোতে সড়কটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। ফলে ভেঙ্গে পড়েছে রাস্তা।
স্থানীয়রা সড়কটি রক্ষা করতে সড়কের নিচে কাঠ দিয়ে চেষ্টা করলে সেটিও ব্যর্থ হয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দুই ইউনিয়নের স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে কর্ণফুলীতে তিনটি সেতু নির্মাণে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৩ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে জুলধা-শিকলবাহা সংযোগ সড়কের খালের উপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের গার্ডারসহ সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি রয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৯১ টাকা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় নির্মাণাধীন অবস্থায় ভেঙ্গে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা ভেঙ্গে যাওয়া সড়ক পরিদর্শন করে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন।
শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা শফিউল আলম বলেন, সড়কটি বেশি দেরী হয়নি আরসিসি ঢালাই করে নির্মাণ করা হয়েছে। এখনো পাশে সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। সেজন্য বাঁধ দিয়ে খালের দুই পাড়ের পানি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ্ দেওয়ার ঝড়-বৃষ্টি তো বাঁধ বুঝে না। পানি জমে মাটি নরম হয়ে সড়ক ভেঙ্গে গেছে। এখন আমাদের দুঃখের শেষ নেই।
জুলধা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ নুরুল হক চৌধুরী জানান, সেতু নির্মাণের ধীরগতির কারণে নির্মিত আরসিসি সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। এতে করে দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াত ভোগান্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকদের ফসলের।
প্রকল্পটির ঠিকাদার মোহাম্মদ ফোরকান চৌধুরী বলেন, পানির ঢলে সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। সেতুর ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আরও কাজ করেছি, কিন্তু এরকম কোথাও হয়নি। রাতের আঁধারে নির্মাণ সামগ্রী পর্যন্ত চুরি করে ফেলেছে দুষ্কৃতিকারীরা। নদীর পানির স্রোত এবং বর্ষায় কারণে কাজ বন্ধ ছিলো। শীঘ্রই বাকি কাজ শেষ করা হবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।