‘ইয়েস, ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন’ অর্থাৎ ‘হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে’ এ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ উদযাপন করেছে পার্কভিউ হসপিটাল চট্টগ্রাম। দিনটি উপলক্ষে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পার্কভিউ হসপিটাল।
এদিন কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়, এরপর আয়োজিত হয় বর্নাঢ্য র্যালি পার্কভিউ চত্তর থেকে মির্জাপুল পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পার্কভিউতে ফিরে আসে। পরে দুপুর ২ ঘটিকায় পার্কভিউ হসপিটালের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ উপলক্ষে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তার মধ্যে ১৭ শতাংশরই হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছে। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টোরেল, স্থুলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, ধুমপান, মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে, সারাবিশ্বে বছরে ১৯ লাখ মানুষ তামাকের কারণে হৃদরোগে মারা যায়। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক ব্যবহার করছে, যা হৃদরোগকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলছে।
জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। এ ধরনের জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পার্কভিউ হসপিটালের বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে উপস্থাপন করেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সেমিনারের প্রধান বক্তা ডা. আ.ই.ম.ন জাহাঙ্গীর সেলিম।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: ইকবাল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম. এম. আলম (সাদী)। সেমিনারে সভাপতি হিসেবে ছিলেন পার্কভিউ হসপিটালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও অর্থোপেডিক সার্জন ডা. এ.টি.এম. রেজাউল করিম। বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ছিলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সফিউল আলম, ডা. রাজীব ঘোষ, ডা. সাইফুল ইসলাম টিপু চৌধুরী, ডা. এ.এম. শওকত আকবর, ডা. হাফেজ মু. মুজিবুল হক, ডা. মো. শওকত হোসেন, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা: রফিক উদ্দিন, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: আব্দুর রাজ্জাক সিকদার, ডা: মো: সগীর, রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ মু জামাল উদ্দীন তানিন, পার্কভিউ হসপিটালের সিসিউ, আইসিউ ডাক্তারগন, নার্স, স্টাফ , পার্কভিউ হসপিটালের বিভিন্ন বিভাগের মেডিকেল অফিসারগন ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ড) মো. জাহেদুল ইসলাম, অন্য কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে মিলে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশন ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্ব সহকারে দিবসটি পালন করা হয়েছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।