পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস—২৫০ পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিলেন স্বয়ং জেলা প্রশাসক

বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়গুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নেয়ার জন্যে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন স্বয়ং জেলা প্রশাসক।

শনিবার (৫ আগস্ট) সন্ধা ৭টায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আকবরশাহ এলাকার বিজয় নগর ও ঝিল পাহাড়গুলোতে অভিযান চালিয়ে ২৫০টি পরিবারকে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠান।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, স্টাফ অফিসার টু ডিসি প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উদ্দিন আকবর।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আমবাগান আবহাওয়া অফিস ১২৫ মিলিমিটার, শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। একইদিন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস রেকর্ড করেছে ৬৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মানুষের জানমাল রক্ষার্থে চট্টগ্রাম মহানগরে ৬টি সার্কেলের মাধ্যমে ভাগ করে পাহাড় রক্ষা এবং মানুষের জানমাল রক্ষায় জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম কাজ করছে। প্রতিদিন মাইকিং থেকে শুরু করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যেতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন,পাহাড়ে যাতে মানুষের আর প্রাণ না দিতে হয় সে জন্যে কাজ করছি। আজকেও আমি নিজে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে ২৫০ পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছি। তাদের জন্যে শুকনো খাবার থেকে শুরু করে প্রতিবেলার খাবারের ব্যবস্থা করেছি। চট্টগ্রামের সকল পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত পরিবারকে ১৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত কয়েকদিন আগে বেলতলীঘোনায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বসবাসরতদের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। যারা পাহাড় কাটায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা ও নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। পাহাড় রক্ষায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে। ব্যাক্তি বা সরকারী যার মালিকানায় পাহাড় থাকুক যারা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।