পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস–১৮০টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ

পাহাড় ধ্বসে চার মৃত্যুর পর ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ বসতি উচ্ছেদে নামে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সমন্বিত এই উচ্ছেদ অভিযানে নগরীর আকবরশাহ থানার পূর্ব ফিরোজশাহ এলাকার ১ নম্বর ঝিলে প্রথত দিন ১৮০টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে।

রোববার (১৯ জুন) সকাল ১০ থেকে শুরু হওয়া অভিযান একটা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ যে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেখানে পুনরায় কেউ যাতে দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য কাটা তার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে গাছ লাগানো হবে। যদি কেউ এ সীমানা ভেঙে বসতি গড়ে তুলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস–১৮০টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ 1

অভিযান চলাকালে তিনি দুপুরে সরেজমিনে উচ্ছেদ অভিযান দেখতে গিয়ে এসব বলেন। এসময় সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম জোন) আব্দুল ওয়ারিশও উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেও বলেছি তাদের আওতাধীন পাহাড়ি জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সেখানে কাটা তারের বেড়া ও গাছ লাগিয়ে সংরক্ষণ করতে। পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস–১৮০টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ 2

রোববার সকাল থেকে বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের চার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আল আমিন সরকার, মো. মাসুদ রানা ও মো. উমর ফারুক। তাদেরকে সহায়তা করেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

আরও পড়ুন:
ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে–ডিসি

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।