পিতার উন্নয়নযজ্ঞ অব্যাহত রেখে সীতাকুণ্ডকে বিশ্বদরবারে পৌঁছাতে চান মামুন

প্রকৃতির আদুরে কন্যা—চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামকে খোদা প্রাকৃতিক সব সম্পদ দিয়ে সাজিয়েছেন। সাগর, পাহাড়, ঝরনা, সমতলভূমির এক অপরূপ নিদর্শন এই চট্টগ্রাম। আর চট্টগ্রামের যা আছে তার সবই আছে সীতাকুণ্ডে। এসব প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সীতাকুণ্ড উপজেলার রয়েছে বড় ভূমিকা।
জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-৪ আসনটি সীতাকুণ্ড উপজেলার সঙ্গে রয়েছে সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ড। সংসদীয় এই আসনের সীমানায় ৩৭০টির মতো মাঝারি থেকে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গুলিয়াখালি, বাঁশবাড়িয়া, সৈয়দপুর সমুদ্রসৈকত, দেশের প্রথম ইকোপার্ক—সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো-পার্ক, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও চন্দ্রনাথ মন্দির, খৈয়াছড়া ঝরনা, সুপ্তধারা ঝরনা, সহস্রধারা ঝরনার মতো আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডিসি পার্ক।

৬টি কলেজসহ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলে প্রায় দেড়শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছড়াচ্ছে শিক্ষার আলো। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। আগ থেকে আছে দেশের স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

এই সংসদীয় আসনে এবার সরকারী দল আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। এস এম আল মামুনের পিতা আবুল কাশেম মাস্টার এই আসনে দুই বার সংসদ সদস্য ছিলেন। ছিলেন জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পিকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া ধর্ম ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন আবুল কাশেম মাস্টার।
এস এম আল মামুন পর পর দুইবার সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা মামুন নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর পুরো এলাকায় আনন্দের জোয়ার বইছে। নৌকার মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় ফিরলে হাজার হাজার মানুষ মামুন মোটর শোভা যাত্রা নিয়ে মামুনকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। মামুনকে সাংসদ হিসেবে জেতাতে এলাকার ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে ঘরোয়া প্রোগ্রাম হচ্ছে। আর প্রোগ্রামগুলো রূপ নিচ্ছে জনসভায়।
পিতার উন্নয়নযজ্ঞ অব্যাহত রেখে সীতাকুণ্ডকে বিশ্বদরবারে পৌঁছাতে চান মামুন 1

এস এম আল মামুন একজন সাবেক সংসদের সন্তান শুধু নয়—ছাত্রলীগ, যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সীতাকুণ্ড উপজেলা সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতির মাঠ থেকে উঠে আসা একজন রাজনীতিবিদ মামুন।
সাংসদ নির্বাচিত হলে সীতাকুণ্ডের জন্য কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন—যেহেতু দুই বার আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম আমার কাজের একটা ধারাবাহিকতা আছে। সেটা রক্ষা করার বড় ক্ষেত্র আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার জন্য দিয়েছেন। তাঁর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রচেষ্টা আমি সেই প্রচেষ্টার একজন অংশীদার হবো। মহান সংসদের তিনশ আসন। আমার আসনটি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে সব পদক্ষেপ নেবো।

পিতার উন্নয়নযজ্ঞ অব্যাহত রেখে সীতাকুণ্ডকে বিশ্বদরবারে পৌঁছাতে চান মামুন 2
মামুনের সমর্থনে সীতাকুণ্ডে গণজোয়ার

এস এম আল মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে সম্মানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সীতাকুণ্ড তার অংশীদার। এখানে দেড়শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আমাদের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনায় পিছিয়ে নেই। বাইর থেকেও উচ্চ শিক্ষা নিতে ছেলে মেয়েরা সীতাকুণ্ডে আসছে। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সরকারের সব কিছুতে অংশীদার ছিলাম। এলাকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এবার সাংসদ হিসেবে আমার ভূমিকা রাখবো।

তিনি আরও বলেন, সীতাকুণ্ডে মাঝারি থেকে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৩৭০টি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সীতাকুণ্ডের অবদান কতটুকু তা সহজেই অনুমেয়। এসব শিল্প প্রতিষ্টান যাতে পরিবেশ সম্মতভাবে পরিচালিত হয় সেটি নিশ্চিত করা জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব মনে করি।

পিতার উন্নয়নযজ্ঞ অব্যাহত রেখে সীতাকুণ্ডকে বিশ্বদরবারে পৌঁছাতে চান মামুন 3
নগরীর দুই ওয়ার্ডে মামুনের সমর্থনের সভা করেছে নগর আওয়ামী লীগ

‘পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার নাম সীতকুণ্ড’ উল্লেখ করে এস এম আল মামুন বলেন, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালি, বাঁশবাড়িয়া, সৈয়দপুর সমুদ্রসৈকত, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও চন্দ্রনাথ মন্দির, খৈয়াছড়া ঝরনা, সুপ্তধারা ঝরনা, সহস্রধারা ঝরনার মতো আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট রয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ডিসি পার্ক স্থাপন করেছেন। আমার দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে সীতাকুণ্ডে দেশের প্রথম ইকোপার্ক—সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো-পার্ক স্থাপন করেন। সীতাকুণ্ডের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যে পরিমাণ পর্যটক আসেন তাদের নিরাপত্তা, তাদের সহজ যাতায়াতসহ সব কিছু একটা ফ্রেম ওয়ার্কে আনা গেলে দেশের মতো বিদেশীদেরও পর্যটন স্পট হিসেবে গন্তব্য হবে সীতাকুণ্ড। সীতাকুণ্ডের নাম বিশ্বদরবারে পর্যটন হাব হিসেবে খ্যাতি পাবে। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে যেমন রাজস্ব যুক্ত হবে, তেমনি সীতাকুণ্ডের সম্মানও বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠা পাবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।