স্ত্রী সন্তানদের হাতে আট টুকরো হয়ে প্রাণ হারানো মো. হাসানের মাথার সন্ধান মেলেনি রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত। আত্মগোপনে আছে পিতার খন্ডিত মাথা নিয়ে যাওয়া ছোট সন্তানও।
অপরদিকে দেহের অপর অংশ গুমের দায়িত্বে থাকা হাসানের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও তার মা ছেনোয়ারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার জাহানের আদালত।
রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন—পিবিআইয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও তার মা ছেনোয়ারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। মাননীয় আদালত শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ট্রলিব্যাগ ড্রপ করার দায়িত্ব ছিল ছোট ছেলে সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী আনারকলির। বস্তা ড্রপের দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছিল বড় ছেলে মোস্তাফিজ। ছোট ছেলেকে গ্রেপ্তারে আমাদের টিম কাজ করছে। তাকে পেলে হাসানের মাথার সন্ধানও পাবো।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর গেইট এলাকায় একটি ট্রলিব্যাগ পায় পুলিশ। কফি রঙের ট্রলিব্যাগে ছিল মানব শরীরের ২ হাত, ২ পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই তদন্তে নামে এবং শনিবার সকালে সেই হাতের চাপের সাহায্যে টুকরোগুলোর পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর শরীরে অন্যান্য অংশ উদ্ধার করে পিবিআই।
এএসপি মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হাসান প্রায় ২৭ ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। কোথায় ছিলেন সেটা তার স্ত্রী-সন্তানরা জানতেন না। সম্প্রতি তিনি ঘরে ফিরেন। বাঁশখালীতে হাসানের পৈতৃক কিছু সম্পদ আছে। স্ত্রী-সন্তানরা সেগুলো তাদের নামে লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু হাসান এতে রাজি না হওয়ায় সবাই মিলে তাকে হত্যা করেছে বলে স্ত্রী-সন্তান প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।’
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।