চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা মামলার আসামি মো. জসীম উদ্দীনের (৩৭) ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম।
এর আগে, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তালপুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্টো ইউনিট। তিনি ওই মামলার ৬ নম্বর আসামি।
এ বিষয়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খাঁন বলেন, অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের মামলার আসামি মো. জসীম উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে রনি আক্তার তানিয়া নামে এক নারীর দায়ের করা মামলায় সাবেক দুদক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় থাকতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। সেই রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে চান্দগাঁও থানার ওসির কক্ষে বসানো হয়। পুলিশ হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করলে থানায় মামলা রেকর্ড করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলাটি তদন্তের আদেশ দেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে।
মামলার আসামি করা হয়—তৎকালীন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তার (১৯)।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।