দেশের প্রথম ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কন্টেইনার টার্মিনাল, আরএসজিটি চট্টগ্রাম আনুষ্ঠানিকভাবে আমদানি ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করেছে। এই মাইলফলকটি মার্স্ক চট্টগ্রাম-এর সফল আগমনের কারণে অর্জিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের মেরিটাইম লজিস্টিকস সেক্টর-এর জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। এর আগে, আরএসজিটি চট্টগ্রাম সফলভাবে ট্রায়াল অপারেশন সম্পন্ন করেছে, যার ফলে এর সম্পূর্ণ আমদানি ও রপ্তানি অপারেশন শুরু করার পথ প্রশস্ত হয়েছে। এই কৃতিত্বটি, শ্রেষ্ঠত্বের সাথে টার্মিনালের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে, আরএসজিটি চট্টগ্রামের, বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করবে।
এই সংযোজনটির পূর্বে, আরএসজিটি চট্টগ্রাম একটি নতুন স্ক্যানারে সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা প্রতি ঘন্টায় ১৫০টি কন্টেইনার পরিচালনা করতে সক্ষম। এই স্ক্যানারটি কার্গো নিরীক্ষা এবং প্রক্রিয়াকরণকে আরো উন্নত করবে।
আরএসজিটি চট্টগ্রামের সিইও অ্যারউইন হেইজ বলেন, “আমরা ট্রায়াল থেকে পূর্ণাঙ্গ অপারেশনে যাচ্ছি, এটি আরএসজিটি চট্টগ্রামের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।” তিনি আরো বলেন, “আমরা আমাদের গ্রাহক এবং অংশীদারদের জন্য বিশ্বমানের পরিষেবার মান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক বাণিজ্যের বৃদ্ধি এবং আধুনিকীকরণে অবদান রাখতে পেরে গর্বিত।”
এছাড়াও, আরএসজিটি চট্টগ্রাম ১৪টি রাবার-টায়ারড গ্যান্ট্রি (আরটিজি) ক্রেনে ২৬ মিলিয়ন ডলার এবং ৪টি শিপ-টু-শোর (এসটিএস) ক্রেনে আনুমানিক ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা ২০২৬ সালের শুরুর দিকেই এর বার্ষিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ২৫০,০০০ টিইইউ থেকে বাড়িয়ে ৬০০,০০০ টিইইউ-তে উন্নীত করবে। এই বিনিয়োগগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ানো এবং লজিস্টিক খরচ কমানো।
আরএসজিটি চট্টগ্রামের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই দেশের ম্যারিটাইম লজিস্টিক সেক্টরের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করা। মার্স্ক চট্টগ্রাম-এর সাথে সম্পূর্ণ ভেসেল অপারেশন শুরু করে আরএসজিটি চট্টগ্রাম এই লক্ষ্য পূরণের দিকে আরো দৃঢ়তার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।