কক্সবাজারের পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢল ও নদীর পানিতে ৪০টির অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৮ থেকে ১০ হাজারের অধিক পরিবার পনিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রশাসনের উদ্যেগে অনেককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার উপজেলা সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বাগগুজারা পয়েন্টে ভোর ৫টার দিকে, মাতামুহুরি নদীর প্রায় ৪ চেইন ভাঙন ও পাহাড় চাঁন্দা মাদ্রাসা থেকে পুইত্যাখালী রাবার ড্রাম পযন্ত ১ কিলোমিটার সড়কের ওপর দিয়ে দেড় ফুট করে চড়ে বডইতলি থেকে মাতামুহুরির ড়লের পানি পেকুয়ায় প্রবেশ করার দৃশ্য চোখে পড়েছে। মঙ্গলবারও (৮ আগস্ট) পানি প্রবাহিতের দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা গেছে, বেড়িবাঁধ ভাঙন ও টানা বৃষ্টিতে বাগগুজারা, মেহেরনামা, বলিরপাড়া, মুরারপাড়া, সাবেকগুদী, নন্দিরপাড়া, পেকুয়ার সদর, শিলখালীসহ পেকুয়া উপজেলায় প্রায় ৪০টির অধিক গ্রাম পাহাড়ি ঢলের পানি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে সারানো হচ্ছে, পাশাপাশি শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে ।
পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) আবু তাহের বলেন, এই মুহুর্তে পেকুয়ায় ৮ থেকে ১০ হাজারের অধিক পরিবার পনিবন্দি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো বলা যাচ্ছে না। ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৮শ পরিবারের জন্য শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা বলেন,প্লাবিত এলাকায় মানুষের মানুষের জান-মালের রক্ষা ও শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়াসহ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। মানুষের জান-মাল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।