প্রতিযোগিতা হবে উন্নয়ন-ভালবাসা নিয়ে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি আরও বলেছেন, “আমাদের উন্নয়ন দেখলে অনেকের খারাপ লাগে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে একটা কথা উল্লেখ করেছেন—‘পরশ্রীকাতরতা’ যার অর্থ ভাই-ভাইয়ের উন্নতি দেখতে পারে না। যারা আমাদের দেখতে পারেনা তারা তাদের মত থাকুক। আমাদের প্রতিযোগিতা হবে উন্নয়ন নিয়ে, মানুষের ভালবাসা নিয়ে। কর্ণফুলীর বড়উঠান আমার দাদার বাড়ি, দাদার বাড়িতে আমি বেড়াতে আসতে কারও অনুমতি লাগবে নাকি! আমি আবারও আসব।”

শুক্রবার (২৪ মে) রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের মিয়ার হাট এলাকায় তৃণমূল আওয়ামী লীগের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমদের খাদ্য নিরাপত্তা, ডেল্টা প্লান ও সর্বজনীন পেনশন দিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “এই দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি। শেখ হাসিনার হাতে যতদিন দেশ, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আমরা চিন্তা করিনি হাতে-হাতে মোবাইল ফোনের কথা, ভিডিও কলের কথা। সব কিছু বাস্তবে রূপ দিয়েছেন শেখ হাসিনা! তিনি দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন।”

কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজ্জাদ খান মিটুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাঈদ খান আরজু সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত, সাংবাদিক সুমি খান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এসএম ছালেহ্, চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, জুলধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নুরুল হক, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন আল মাইজভান্ডারী, কেন্দ্রীয় নেতা তসলিম উদ্দিন রানা।

আরও উপস্থিত ছিলেন—চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমজাদ হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি কলেজের সাবেক জিএস জকির আহমদ মামুন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাহাদুর খান, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন বাপ্পী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা এমএন ছাবের, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা মাহবুব।

বড়উঠান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আসহাবদৌল্লাহ খান বাহার, ইউপি সদস্য এম. সাইফুদ্দীন, বাহাদুর খান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ইনাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ সোলতান, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এনাম, মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সেলিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজিদ, যুগ্ম আ্‌বায়ক এম. সাইফুদ্দিন, হেমায়েদ ইসলাম মুন্না, ওলামা লীগের সভাপতি ইউনুস ওহেদী, মৎস্যজীবি লীগের আহ্বায়ক সৈয়দুল হকসহ প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।