প্রতীক পেয়েই আচরণবিধি ভেঙে শোডাউন

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পেয়েই একসাথে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে শোভাযাত্রা ও শোডাউন করেছেন একজন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আওয়ামী লীগের দলীয় তিন ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষেই শোডাউনটি করেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী (আনারস) ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন মুরাদ (উড়োজাহাজ) শতশত মোটরসাইকেল ও যানবাহন নিয়ে শোভাযাত্রা ও শোডাউন করেন।

বিকেল চারটার সময় নগরীর শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজা থেকে শোভাযাত্রাটি নিয়ে শিকলবাহা ওয়াই জংশন গিয়ে পুনরায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন মুরাদের শিকলবাহাস্থ বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি ও শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বড়উঠান ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম এবং উপজেলা আ.লীগ সদস্য ও জুলধা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নুরুল হক অংশ নেন। এ সময় সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন প্রকারে যানবাহন।

সূত্র জানায়, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর বিপক্ষে লড়ছেন চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত আ. লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী (আনারস)।

উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের সরকার দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে প্রচারণায় নামলেন।

রির্টানিং কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীর (নৌকা) সাথে চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী (আনারস) প্রতীকে লড়বেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ন সম্পাদক আমির আহমদ (চশমা), উপজেলা যুবলীগ সহ সভাপতি মহিউদ্দিন মুরাদ (উড়োজাহাজ) এবং মো. আবদুল হালিম (তালা) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোমেনা আক্তার (কলস), বানাজা বেগম (হাঁস), ডা. ফারহানা মমতাজ (ফুটবল) এবং রানু আকতার (বৈদ্যুতিক পাখা) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আগামী ২ নভেম্বর ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৩ হাজার ৫৯৯ জন ও মহিলা ভোটার ৫৪ হাজার ২০০ জন। মোট ৪২টি কেন্দ্রে তারা ভোট প্রদান করবেন।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল শুক্কুর বলেন, প্রতীক বরাদ্দকালে প্রার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা না হয়। কিন্তু কেউ কেউ আচরণবিধি না মেনে শোভাযাত্রা ও শোডাউন করেছে। তিনি আরও বলেন, বুধবার (আজ) থেকে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।