প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে সাকিবের ৩০০ উইকেট

বিশ্বক্রিকেটের কেবল ১২ জন খেলোয়াড় রয়েছেন যারা ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেট নিয়েছেন। সে তালিকায় এতদিন ছিলো না কোন বাংলাদেশির নাম। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রেহান আহমেদকে আউট করে এই এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। এই মাইলফলক অর্জন করতে ৩৫ বছর বয়সী অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের লেগেছে ২২৭ ম্যাচ।

সোমবার(৬ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নামের পাশে ২৯৬ উইকেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। এই বাঁহাতি স্পিনার আরও একবার দেখালেন বল হাতে ভেলকি। একে একে ফেরালেন ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট, জেসন রয়, জেমস ভিন্স ও রেহান আহমেদকে।

বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার হিসেবে এই ক্লাবের একমাত্র সদস্য তিনি। ওয়ানডেতে সাকিবের পরে বাংলাদেশের হয়ে সবোর্চ্চ উইকেট মাশরাফি বিন মর্তুজার। তার নামের পাশে আছে ২৭০ উইকেট।

এদিন ইংলিশ ওপেনার সল্টকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে এদিন শুরু হয় সাকিবের উইকেট উৎসব। আরেক ওপেনার রয়কে করেন বোল্ড। এরপর বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আভাস দেওয়া ভিন্সকে তিনি ফেরান দারুণ এক ডেলিভারিতে। ম্যাচে তার চতুর্থ ও সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩০০তম শিকার হন রেহান। অভিষিক্ত এই বোলিং অলরাউন্ডার অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে মেরেছিলেন। শর্ট মিডউইকেটে অসাধারণ এক নিচু ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

২০০৬ সালের ৬ অগাস্ট হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। ওই ম্যাচেই ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের স্বাদ তিনি পেয়েছিলেন। তার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এলটন চিগুম্বুরা। ২০১০ সালে সাকিব নেন শততম উইকেট। ডাম্বুলায় এশিয়া কাপের ম্যাচে তাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে পাকিস্তানের আসাদ শফিক হয়েছিলেন স্টাম্পড।

২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সাকিবের ২০০তম শিকার ছিলেন হাশিম আমলা। চট্টগ্রামেই টার্নে পরাস্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার ক্যাচ দিয়েছিলেন মুশফিকের হাতে। প্রায় আট বছরের ব্যবধানে এদিন তিনশ উইকেট পূর্ণ হয়েছে সাকিবের।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।