মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে শেখ হাসিনার সরকার ‘ঘর নাই বাড়ি নাই’ এমন পরিবারগুলোকে মাথা গুঁজার ঠাঁই করে দিতে দেশব্যাপি গৃহহীনদের জমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেয়। এই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় নতুন করে আরও ১০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতি ২ শতক জমিতে প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হবে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে ১০ গৃহহীন পরিবারের জন্য ২০ শতক জমিতে নির্মিত হয় পাকা ঘর।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে তৃতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রামে ১ হাজার ২১৬টি পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে জমিসহ মুজিব বর্ষের নতুন ঘর উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে গৃহহীন পরিবারগুলোকে জমির কাগজসহ এসব ঘর হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তৃতীয় ধাপে আজ (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সারা দেশে ৩২ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর বুঝিয়ে দিবেন। তারই ধারাবাহিকতায় কর্ণফুলীতে নতুন করে নির্মিত ১০টি ঘর উদ্বোধন করবেন এবং ভূমি ও গৃহ হস্তান্তর করবেন। ঘরগুলোর নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা স্বপ্নের ঠিকানায় বসবাস শুরু করার।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে বর্তমান সরকারের। প্রথম দফায় গত বছরের ২৩ জানুয়ারি ২৫ পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় দফায় গত মে মাসে আরও ৫ পরিবারকে ঘর উপহার দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত দুই দফায়
৩০ পরিবারকে ঘর দিয়েছে সরকার। তৃতীয় দফায় উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে আরও ৮ ও চরলক্ষ্যার ২টি পরিবারসহ ১০ পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করবেন।
প্রতিটি ঘরে দুইটি বেড রুম, রান্নাঘর, টয়লেট ও একটি বারান্দা নিয়ে ঘর ও আশপাশের জমি মিলিয়ে দুই শতক জমি দেওয়া হবে প্রতিটি পরিবারকে। টিনশেডের এ ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারবে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে আগে ব্যয় ছিল ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এখন তা বাড়িয়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা করা হচ্ছে।
‘আশ্রয়নের অধিকার, প্রধানমন্ত্রীর উপহার,’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দুই দফায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানার তত্ত্বাবধানে এসব পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা সুলতানা জানান, ‘মুজিববর্ষে তৃতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘরগুলো নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্মিত ঘর গুলো সুবিধাভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর পেয়ে মহাখুশি উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন অতিদরিদ্র মানুষরা।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন মুজিব বর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ লক্ষ্যেই সরকারি খাস জায়গার ওপর ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) ঈদ উপহার হিসেবে জমিসহ মুজিব বর্ষের নতুন ঘর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এমএফ
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।