চা শ্রমিক লাকি নারায়ন, অন্য দুই-চার-দশজনের মতোই সেদিন প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে এসেছিলেন। চট্টগ্রাম প্রান্তে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের পাশে বসে চা শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে নিজে কথা বললেন। আবেগ-অশ্রুতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, এক চোখে সমস্যা, অপর চোখের অর্ধদৃষ্টি শক্তিতে কাজ করতে তার সমস্যা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাথে সাথে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানকে বললেন, ‘ইমিডিয়েটলি’ লাকি নারায়নে চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর, মাঝে মাত্র ২০ দিন। আর ২৩ সেপ্টেম্বর লাকি নারায়ন দুটো চোখেই দেখছেন।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর চা শ্রমিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় লাকি নারায়ন তার চোখের সমস্যার কথা জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি চা শ্রমিক লাকির চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে বলার পর থেকেই লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে তার চোখের চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি এখন পূর্ণ দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মমিনুর বলেন, দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়ে লাকি নারায়ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
লাকি নারায়ন ফটিকছড়ির কর্ণফুলী চা বাগানের ১০ নম্বর লাইনের শ্রমিক। স্বামী-সন্তানহীন লাকি তেজেন্দ্র নাথের মেয়ে।
লাকি নারায়নের বোন প্রতিমা নারায়ন বলেন, ‘যার দৃষ্টি নেই সে বেঁচে থাকাও এক প্রকার মৃত্যুর সমান। আমার বোন একটা চোখে দেখতে পেতেন না। অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন এতদিন। এখন সুস্থ হয়ে দুচোখে দেখছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’