প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্য নিরসনে বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন—ওয়াসিকা আয়শা খান

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য নিরসনে বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। গত ১৬ বছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৯ লাখ কোটি টাকা। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সামাজিক নিরাপত্তায় এত বেশি বরাদ্দ বিরল।’

শুক্রবার (১২ জুলাই) চট্টগ্রম সার্কিট হাউসে ছয়টি জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ১৫ আগে বাংলাদেশ যেমন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ এখন অনেক বদলে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর রূপান্তরকারী নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। বেড়েছে গড় আয়ু, কমেছে শিশু ও মাতৃমৃত্যুহার।’

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা সংবিধানে অসহায় মানুষের জন্য সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার অন্তর্ভুক্ত করে সামাজিক নিরাপত্তাকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি ভূমি ও গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে গৃহহীণ ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য আশ্রয়ণ, ঘরে ফেরা, একটি বাড়ি একটি খামার, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার মতো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলো চালু করেন।’

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) চট্টগ্রামের সহসভাপতি ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ জেলা পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের মহানগরের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ১৪১ জন রোগী ও রোগীর স্বজনদের মাঝে ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।