প্রশাসনের পদত্যাগসহ চবিতে শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য (একাডেমিক ও প্রশাসনিক), প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রভোস্টদের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় তারা।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত নয়টায় একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে আজ দুপুর ১২টার ভেতরে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ। এ সময় জানানো ৫ দফা দাবিগুলো হলো—

১. যাদের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে, বোনদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসায় বোমা হামলা করার পরেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দিয়ে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডারদের আবাসিক হলে আশ্রয় দেওয়ায় সকল হল প্রভোস্টদের এবং এসকল বিষয়ে নিরব ভূমিকা পালন করায় ভিসি ও প্রো-ভিসি (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) কে আজ দুপুর ১২ ঘটিকার মধ্যে
পদত্যাগ করতে হবে।

২. নতুন প্রশাসন নিয়োগের ক্ষেত্রে চিহ্নিত দালাল (সন্ত্রাস ও স্বৈরাচারের সহযোগী, দুর্নিতিবাজ, অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃত) দের পদায়ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে আমাদের মতামতের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। গত দুই বছরে অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃত (অস্থায়ী) সকল নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

৩. দ্রুত হল খুলে দিয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিট বারাদ্দ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে অনলাইনে ফরম দিতে হবে। পূর্বের সংগ্রহিত ফরম বাতিল বলে গণ্য হবে।

৪. অছাত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা (তাদের তালিকা আমাদের নিকট সংগৃহিত আছে) আবাসিক হলে থাকতে পারেব না।

৫. নতুন প্রশাসনকে আগামী ৪ মাসের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল দাবী শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে চাকসু ভবন থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশ করেন। দুপুর বারোটা পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন পদত্যাগ না করায় সমাবেশ থেকে জুমার নামাজের পর কঠোর অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।