চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, চট্টগ্রামে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ সূত্রে বিদেশিদের নিরাপত্তা, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে বিদেশিদের যাতায়াতসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে বছর দেড়েক আগে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রশিক্ষিত কুকুরের ডগ স্কোয়াড চেয়েছিল চট্টগ্রাম নগর পুলিশ—সিএমপি।
তৎকালীন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর (বর্তমানে ডিআইজি—স্পেশাল ব্রাঞ্চ) ২০টি কুকুর চাইলেও ১০টি কুকুরের ডগ স্কোয়াড পাচ্ছে সিএমপি।
ডগ স্কোয়াড থাকবে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অধীনে। ডগ স্কোয়াড দেখভাল করার জন্য একজন সহকারী কমিশনার পদ মর্যাদার কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজনের প্রশিক্ষণও সম্পন্ন হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশ গিয়ে দুই কনস্টেবল পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল।
সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার লিয়াকত আলী খান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, ডগ স্কোয়াডের কুকুর এবং স্কোয়াড পরিচালনার জন্য আমাদের জনবলের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। কুকুর রাখার স্থাপনা নির্মাণ সম্পন্ন হলে স্কোয়াডের কাজ শুরু হবে।
সিএমপির স্টেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ ডগ স্কোয়াডের স্থাপনা নির্মাণ করছে। স্টেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের উপ-কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, ডগ স্কোয়াড রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। এটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত হতে আরও মাস তিনেক সময় লাগবে। এরপর আমরা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে স্থাপনা বুঝিয়ে দিবো।
২০টি কুকুরের ডগ স্কোয়াড পরিচালনার জন্য ৪০ কর্মকর্তার চাহিদা দিলেও ১০টি কুকুর পাচ্ছে সিএমপি। জনবলও কমিয়ে আনা হয়েছে। ১০টি কুকুরের স্কোয়াড পরিচালনার জনবল এই বিভাগে নিযুক্ত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, ১২ জার্মান শেফার্ড ও ১৩ ল্যাব্রাডার নিয়ে ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর পুলিশ বাহিনীতে ডগ স্কোয়াড যুক্ত হয়। এরপর ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট ৪০টি কুকুর নিয়ে র্যাবেও ডগ স্কোয়াড যুক্ত হয়। পুলিশ বাহিনীতে ডগ স্কোয়াড যুক্ত হওয়ার ২৩ বছর পর চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ডগ স্কোয়াড যুক্ত হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ একাধিক সংস্থা বিস্ফোরক শনাক্ত ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করছে। অবৈধ মালামাল কিংবা নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন পণ্য শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যাতে কেউ পরিবহন করতে না পারে তা আরও কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে ডগ স্কোয়াড। পাশাপাশি চট্টগ্রামে বিদেশিদের বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে তাদের যাতায়াত নিরাপদ-নির্বিঘ্ন করতে ডগ স্কোয়াড সময় উপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন চট্টগ্রামের সচেতন মহল।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।