দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হয়েছে মাছ আহরণ। জলে ফিরে জেলেদের যেমন স্বস্তি এসেছে তেমনি প্রাণ ফিরেছে হ্রদে। মাছ আহরণের প্রথম দিন লেকজুড়ে ছিলো জেলেদের ব্যস্ততা। সেই সাথে হরেক রকমের মাছ যেমন নজর কাড়ছে তেমনি আশা জাগাচ্ছে জেলে-ব্যবসায়ীদের মনে। যদিও মাছের আকার ছোট হওয়ায় কিছুটা হতাশ জেলেরা।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কাপ্তাই হ্রদের অবতরণ ঘাটগুলোতে দেখা গেছে সারি সারি চাপিলা, কাচকিসহ নানা জাতের মাছের ড্রাম নিয়ে ভীড় করছেন জেলেদের বোট। আর ব্যবসায়ীরা শুল্ক পরিশোধ করে সেসব মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে বরফ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে তুলছে ট্রাকে। ব্যবসায়ী এবং জেলেদের মাঝে দীর্ঘদিন পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সবাই ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।
এ সময় কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রথমদিনে মাছের আকার ছোট দেখে অনেকে হতাশ হয়েছেন। তবে আমরা আশা করছি পরবর্তীতে আশানুরূপ মাছ শিকার করা সম্ভব হবে। এদিকে দীর্ঘ ১৩২ দিনের অপেক্ষার অবসান হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জেলেদের মাঝেও।
স্থানীয় কয়েকজন জেলে জানান, ব্যবসায়ীরা তালিকাভুক্ত জেলেদের কাছ থেকে মাছ বুঝে নিচ্ছেন। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর প্রথম দিনেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে কিছুটা কম। কেচকি-চাপিলা মাছের আকারও অনেকাংশে ছোট। কেউ কেউ প্রথম দিকেই মাছ কম পাওয়ায় বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন। বলছেন, প্রথম দিকে মাত্রাতিরিক্ত মাছ পাওয়া গেলে মৌসুম শেষে পাওয়া যায়নি। চলতি মৌসুমের শেষদিক পর্যন্তও মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, দীর্ঘ চার মাস ১২ দিন পরেআজ থেকে হ্রদে মৎস্য আহরণ, বিপনন ও সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। এ বছর হ্রদের পানি থাকায় মৎস্য আহরণ আশানুরুপ হবে। এই দীর্ঘ বন্ধে জেলে ও ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে আমরা আশা করছি তাদের এই ক্ষতি পোষানো সম্ভব হবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।