প্রায় ৩ মাস পর প্রকাশ্যে দলীয় কর্মসূচিতে এলেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। ২৮ অক্টোবর ২০২৩ থেকে আত্মগোপনে থাকা এই নেতাকে দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে তো নয়ই মুঠোফোনে পাননি বলে অভিযোগ আছে। তাকে না পেয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারীকে ফোন করলে ‘স্যার চট্টগ্রাম নেই’ বলে জবাব দিয়ে আর বেশী তথ্য দিতেন না।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি নির্বাহী কমিটির সভায় হাজির হয়ে সভাপতিত্ব করেন।
আন্দোলনের মাঠে তাকে দেখা না গেলেও নতুন সরকারকে স্বৈরাচারী সরকার আখ্যা দিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত যে কোন কর্মসূচি পালনে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এ. হালিম, অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, ছালাহউদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী মো. সালাহউদ্দিন, জসিম উদ্দিন সিকদার, অ্যাডভোকেট এম.এ. তাহের, কর্নেল (অব:) আজিম উল্লাহ বাহার, ডা: খুরশীদ জামিল চৌধুরী, আবদুল আউয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, মো. সেলিম চেয়ারম্যান, আবু আহমেদ হাসনাত, আনোয়ার হোসেন, কাজী মহিউদ্দিন, জহির আজম চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, আলমগীর হোসেন ঠাকুর, শওকত আলী নুর, অধ্যাপক মো. মহসিন, ইউসুফ নিজামী, জয়নাল আবেদীন, জহুরুল আলম, মোবারক হোসেন কাঞ্চন, মো. মহিউদ্দিন, এজাহার মিয়া, নিজাম উদ্দিন কমিশনার, অহিদুল আলম, আবুল বশর, ইফতেখার চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, আওয়ামী সরকারের প্রতি জনগণের কোন ম্যান্ডেট নেই। ডামি নির্বাচনে জনগণ বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। নির্বাচনে শতকরা নব্বই ভাগ ভোটারও ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে তাড়াহুড়ো করে সরকার গঠন করলেও তাদের খুবই দ্রুত পতন হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতালে মাঠে নাই ডা. শাহাদাত—গোলাম আকবর
আত্মগোপনের ‘চিল্লা’ শেষে প্রকাশ্যে ডা. শাহাদাত, এখনও অন্তরালে শামীম-আকবর
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।