প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ইসির

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই কথা জানান।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনে কতটি দল এবং কতজন প্রার্থী অংশ নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সেটি অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭১৩ জন প্রার্থী আছেন, আর ২৯টি দল আছে। আগে ৩০টি দিয়েছিল। তবে তার মধ্যে জেডিপি বলে একটি আছে, সেটি কোনো দল না, সেটি স্বতন্ত্র হবে। তাই সব মিলিয়ে নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৯টি দল আমাদের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি প্রসঙ্গে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন জেলা এবং অঞ্চলপর্যায়ে সফর করেছেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গত ৩০ নভেম্বর বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময় রদবদলে প্রশাসনে বিশৃঙ্খলার কোনো ঝুঁকি নেই।

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন এই কর্মকর্তা। তবে এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, জমা হওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলছে গতকাল শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা যাচাই-বাছাই করছেন। যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় থাকবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। এরপর প্রার্থীরা নিজেদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। সবশেষ আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।