প্রেমে শুধু পূর্ণতা নয়, সৃষ্টি করে শূন্যতাও

কেউ প্রেমকে বলে স্বর্গীয় ছোঁয়া, কেউ বলে পবিত্রতার পরশ। কারো জীবনের সফলতায় আসে প্রেমে। আবার কেউ মরে প্রেমে পড়ে।

প্রেম নিয়ে সারা বিশ্বে আছে হাজারো সিনেমা। প্রেমের তাজমহল, সাগরিকা বাংলা সিনেমা, তেরেনাম হিন্দি সিনেমায় দেখতে পাওয়া যায় অসাধারণ প্রেমের রসায়ন।

এ ছবিগুলোতেই প্রেমের সফলতার সাথে মৃত্যুরও দেখা পেয়েছি আমরা। এটা বলা যায়- প্রেম শুধু কাছে টানে না, মৃত্যুও এনে দেয়। রাউজানে দুটি পরিবারে নিজ নিজ সন্তান হারিয়ে নিদারুন শূন্যতায়।

আর এর সত্যতা আরো প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের মহামুনি ভগবান দারোগার বাড়িতে। প্রেমিকা অন্বেষা চৌধুরী আশা ও প্রেমিক জয় বড়ুয়ার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জয় বড়ুয়া (২৬) নিলেন্দু বড়ুয়া নিলুর ছেলে। অন্বেষা চৌধুরী আশা (২০) স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড বড়ুয়া পাড়ার উদয়ন চৌধুরী বাড়ির রনজিত চৌধুরী বাবলুর মেয়ে। তিনি নোয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অন্বেষা চৌধুরী আশার সঙ্গে জয় বড়ুয়ার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি আশার সঙ্গে ফ্রান্স প্রবাসী এক ছেলের ১০ মার্চ বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। জয় চায়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

রোববার রাতে জয়ের কাকা সুব্রত বড়ুয়ার বাড়িতে আশাকে ডেকে আনেন জয়। এর আগেও এ বাড়িতে মাঝে মাঝে থাকতেন জয়। রাতে পরিবারের সদস্যরা জয়ের সন্ধান করতে থাকে। পরে রাত সোয়া আটটার দিকে জয়ের বোন, জেঠাতো ভাই ও বন্ধু ওই ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন।

তারা দেখতে পান জয় বড়ুয়া গলায় শার্ট দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় আছে। আর আশাকে দেখতে পান গলায় ওড়না প্যাঁচানো ও গলায় ছুরি ঢোকানোসহ রক্তাক্ত অবস্থায়। পরে তারা দা দিয়ে শার্ট কেটে জয়ের মরদেহ নিচে নামান।

রাঙ্গুনিয়া-রাউজান সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।