২০২১ সালে চট্টগ্রামের আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকার মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে বিয়ে হয় নাসরিন আকতার প্রমির। নাসরিন উপজেলার বারশত ইউনিয়নের পশ্চিমচাল ফতেহ আলীর বাড়ির আবদুল ছবুরের মেয়ে। বিয়ের দেড় বছর পর আসে একটি পুত্র সন্তান। প্রেমের পর বিয়ে হলেও শেষ পরিণতি হয়নি সুখকর! বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় লাশ হলেন নাসরিন।
সোমবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় স্বামী মো. জয়নাল আবেদীন (২২) ও শাশুড়ি মনোয়ারা বেগমকে (৫০) আটক করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ পারভেজ জানান, আড়াই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের কয়েক মাস পার হতে না হতেই স্বামী ও শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করতো। সোমবার সন্ধ্যায়ও আমার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছে বোন। রাত ৯টার দিকে খবর আছে আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। আমার বোনকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
বারশতের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জমির উদ্দিন জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন করতো তাকে। এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠকও হয়েছিলো তাদের পরিবারের মধ্যে। যা আমরা সামাজিকভাবে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করি।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, নাসরিন নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় আত্মহত্যা প্ররোচণার দায়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছে। পুলিশ স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।