ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে

আলোচিত সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপাত্তা আইনে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সাংবাদিক-সুধিজন।

ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বুধবার (৮ জুন) চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী মোড়ে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এই দাবী জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার প্রীতম দাশের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের গ্রন্থাগার সম্পাদক ও বিডিনিউজ টুয়োন্টিফোর ডট কমের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মিন্টু চৌধুরীসহ প্রমূখ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও তার পরিবারের মুখোশ উন্মোচন করায় তারা সাহসী সাংবাদিক ফজলে এলাহীর ওপর ক্ষেপেছে। অথচ তার পত্রিকায় যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রতিটি শব্দ সত্য ছিল। যা সরকারের একাধিক সংস্থার তদন্ত ওঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনের আলোকে ফজলে এলাহীকেও মামলা থেকে নির্দোষ প্রতিবেদন দিতে হবে।

তারা আরও বলেন, রাঙামাটিতে মামলা করে সুবিধা করতে না পেরে গোপনে চট্টগ্রাম এসে সাইবার ট্র্যাইবুনালে মামলা করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ তো ফজলে এলাহীকে চিনে। ফজলে এলাহী তো পালিয়ে বেড়ানোর মানুষ নয়। তবুও কেন তাকে গ্রেপ্তার করে হেনস্তা করা হলো?

বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন আখ্যা দিয়ে বলেন, অনতি বিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে। ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর কন্যা নাজনীন আনোয়ারের একটি রেস্টুরেন্টের লিজ সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে ফজলে এলাহী প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তখনই তার ওপর ক্ষিপ্ত হন তারা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।