ফটিকছড়িতে দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মাদ্রাসার মোহতামিমকে অপসারণের দাবি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ধর্মপুর আল জামেয়া ইসলামিয়া আজাদীবাজার মাদ্রাসার মোহতামিম মৌলভী হাবিব উল্লাহ আজাদীকে পদত্যাগের জন্য ৪ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন এলাকাবাসী। শনিবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন মাদ্রাসা স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ ও এলাকাবাসী।

সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসার মোহতামিম মৌলভী হাবীব উল্লাহ আজাদীর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার অর্থ আত্নসাৎ, লুটপাট, সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরেন ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।

সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুহাম্মদ আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৪ বছর পূর্বে বর্তমান মোহতামিম মৌলভী হাবিব উল্লাহ আজাদী মাদ্রাসার মোহতামিমের দায়িত্বে আসার পর থেকেই মূলত মাদ্রাসার অধঃপতন শুরু হয়। তার বিতর্কিত নানাবিধ কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতায় শিক্ষার পরিবেশ প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। যা চোখের সামনে প্রত্যক্ষ করে স্থানীয় এলাকাবাসী চরম ক্ষুদ্ধ ও হতাশ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসার মুহতামিম মৌলভী হাবিব উল্লাহ শুধু প্রতারকই নন তিনি জঘন্য পর্যায়ের মিথ্যাবাদীও। দুর্নীতি লুটপাটের খবর প্রচার হওয়ায় এসবকে ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসা মার্কেটের বিরোধকে উসকে দিয়ে উল্টো এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার হিসাব রক্ষকসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী আগামী ৪ দিনের মধ্যে মাদ্রাসার মজলিশে শুরার বৈঠক আহ্বান করে মোহতামিম মৌলভী হাবিব উল্লাহ আজাদীকে মাদ্রাসা থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার জোর দাবি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ নুরুল আলম মোহাম্মদ রফিক, হাফেজ এমদাদ উল্লাহ, মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ, মোহাম্মদ সোলাইমান, আবুল বশর
ওবাইদুল হক পটু, নুরুল আলম নুরু, হাফেজ ইলিয়াছ, আবুল কালাম প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ধর্মপুর আল জামেয়া ইসলামিয়া আজাদীবাজার মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা হাবিব উল্লাহ আজাদীকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে মাদ্রাসা গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।