ফটিকছড়িতে নাজিম মুহুরী-জসিম-নুপুর জয়ী

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন মুহুরী। মঙ্গলবা (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে রাত ১১ টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নাজিমুদ্দিন মুহুরীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ১৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতেয়ার সাইদ ইরান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৬৭ ভোট।।

জয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন মুহুরী বলেন, ‘জনগণের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমাকে তারা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। যদি বেঁচে থাকি, পাঁচটি বছর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা গঠন করতে চাই।’

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে ৩২ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এড.সালামত উল্লাহ চৌধুরী পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৬৭ ভোট। এছাড়া তালা প্রতীকে সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ কৌরাইশী পেয়েছেন ২০ হাজার ৩৭৯ ভোট এবং মো: নাজিম উদ্দিন সিদ্দিকী চশমা প্রতীকে পেয়েছে ১২ হাজার ১১ ভোট।

এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে শারমীন আক্তার নুপুর ৫৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৫ ভোট।

এর আগে, কঠোর নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভার ১৪২ ভোট কেন্দ্রে ব্যালেট পেপারে সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত একটানা চলে এ ভোট গ্রহণ। ভোটের শুরুতে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে দুপুরের পর অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটার শূণ্য হয়ে পড়ে। তরুণ ও নতুন ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার, এজেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অলস সময় পার করতে দেখা যায়।

ফলাফল গণনা শেষে শতকরা ২২ শতাংশ ভোট সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছিল। যার ফলে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হয়েছি।’

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।