ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে একই পরিবারের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। গত ২৩ জুলাই উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের উত্তর কাঞ্চননগর আবুর বাপের ডেবা এলাকায় ইউনুচ এবং নুরুল আলম গংদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
সম্পর্কে ইউনুচ এবং নুরুল আলম দুইজন আপন ভাই। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহতরা হলেন—মো. ইদ্রিস, মো. পেয়ারু, মো. রমজান আলী, মো. এখলাছ, মো. ইসমাইল, মো. মোবারক। এদের মধ্যে রমজান আলী ও পেয়ারুর অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করে ফটিকছড়ি থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী মোহাম্মদ ইউনুচ জানান, উত্তর কাঞ্চননগর আবুর বারেপ ডেবা এলাকায় খাস ও বনবিভাগের কৃষি জমি তাদের পুর্ব পুরুষদের দখলে ছিল। বিগত কয়েকযুগ ধরে তারা এগুলো চাষাবাদ করে আসছিল।
তিনি জানান, হঠাৎ করে তার ভাই নুরুল আলমের ছেলেরা তাদেরকে জমিতে চাষাবাদ করতে বাধা প্রদান করে। এসময় ইউনুচের ছেলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদের বিষয়টি মোবাইলে ভিডিও করতে গেলে নুরুল আলমের ছেলেরা জনেক মোবারকের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা করে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল আলমের ছেলে মো. ইসমাইল বলেন, তাদের পূর্ব পুরুষদের দখলীয় খাস জমি গত কয়েক বছর আগে তারা ভূমি অফিস থেকে বন্দোবস্তি নেয়। এর পর তারা জমির খাজনাও পরিশোধ করে আসছিল। কিন্তু তাদের বন্দোবস্তিকৃত জমিতে তার চাচা ইউনুচ জোর করে চাষ করছিল। এতে বাধা দেয়ায় ইউনুচের পরিবারের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। এসময় তাদের পক্ষর ৩-৪ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় তারা ফটিকছড়ি থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোবারক বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাদেরকে নিভৃত করতে যাই। এ সময় উল্টো প্রতিপক্ষের হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি।
এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ পেয়ে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ফটিকছড়ি থানার এ এস আই সাইদুল জানান, ভূমি বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।