চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আজাদী বাজার আল জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার মজলিশে শূরা বৈঠকে মোহতামিম মাওলানা হাবিব উল্লাহকে আজাদীকে ৬ মাসের অব্যাহতি দিয়েছে শূরা কমিটি। মাওলানা জাফরুল্লাহকে নতুন মোহতামিম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর্থিক অনিয়মের জন্য গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (২৫) দুপুর ১টায় শূরা কমিটির বৈঠক শুরু হয়ে চলে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। শূরা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের আমীর ও বাবুনগর মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
শূরা বৈঠকে হাটহাজারী মাদ্রাসার মোহতামিম খলিলুর রহমান, মাওলানা শেখ আহমদ শাহ, মাওলানা শোয়াইব, মুফতি জসিম, মাওলানা হাফেজ নূরুল হুদা, মাওলানা মাহমুদ শাহ, মাওলানা আব্দুল আহাদ, মাওলানা আলমগীর,মাওলানা সলিম উল্লাহ, মাওলানা নাসিন, মাওলানা আবদুল মতিন, মাওলানা হাবীব উল্লাহ আজাদী, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব ও ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মোহতামিমের বিরুদ্ধে উত্তাপিত অভিযোগ তদন্তে ৪ সদস্য বিশিষ্ট্য এবং দোকানগৃহ জটিলতা নিরসনে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এর আগে, গত ২২ জুলাই মাদ্রাসাটির মোহতামিম হাবিবুল্লাহর বিরুদ্ধে মাদ্রাসা স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসার আয়-ব্যয় অনিয়ম দুর্নীতি, সেচ্চাচারিতা, শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এ সময় তারা মোহতামিমকে অপসারণের জন্য ৯৬ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দাবি জানান। এরই প্রেক্ষিতে জরুরী শূরার বৈঠক বসেন।
শূরার বৈঠক চলাকালীন মাদরাসা এলাকায় ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাসুদের নেতৃত্বে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিল। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানিও মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাসুদ বলেন, আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল। তবে শূরা বৈঠক শুরু এবং শেষ পর্যন্ত কোন গণ্ডগোল হয়নি।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।