ফটিকছড়িতে ধর্ষণ মামলায় নির্বাচন ও আনসার কর্মকর্তা কারাগারে

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের দায়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি ও রামগড় নির্বাচন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ জুন) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শারমিন জাহানের আদালতে জামিন আবেদন করলে, আদালত তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার দুই আসামি হলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার সদস্য বিদায়ী (বর্তমান রামগড় উপজেলা) নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির (৪৫) ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইদুল ইসলাম (৫০)। ঘটনার সময় তারা দুইজন একই ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়ি আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের বাসায় রান্নার কাজের বোয়া হিসেবে কাজ করতেন মামলার বাদী ভুক্তভোগী ওই নারী। এ বছরের শুরুর দিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে সাইদুল ইসলাম জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন। পরে বিভিন্ন সময় সাইদুলের সহযোগীতায় নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরও তাকে ধর্ষণ করেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা ও আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার বাসা একসাথে ছিলো।

সূত্রে আরও জানা যায়, ধর্ষণে তাদের সহযোগীতা করেন মামলার অপর দুই আসামি ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ইয়াকুব আলী (৬০) ও আরেক গৃহকর্মী শিখা শীল (৪৫)।

স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীকে লাগাতার ধর্ষণের পর তিনি অসুস্থ হয়ে গেলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাও গ্রহণ করেন। আসামিরা তাকে চিকিৎসার কাজে কিছু টাকাও দিয়েছেন বলেও জানায় আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মুহাম্ম আব্দুল মতিন বলেন, গত ১২ মে ফটিকছড়ি থানায় এই দুইজন সহ চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভুগী (গৃহকর্মী) নারী। মঙ্গলবার ওই দুই কর্মকর্তাকে গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ঘটনার সময় নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। গত ২৮ এপ্রিল তাকে ফটিকছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় বদলি করা হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।