গাজাসহ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের রূহের মাগফেরাত কামনায় চট্টগ্রামে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বাদ জুমা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মুসাফিরখানা জামে মসজিদে এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ফিলিস্তিন ভূমিতে দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে মার্কিন ও পশ্চিমা দেশের মদতে যে বর্বরোচিত হামলা, বোমা বর্ষণ চালিয়ে বার বার গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধবাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। এটা মুসলিম বিশ্বের ব্যর্থতা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রামে পাশে ছিল এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন যুগিয়ে আসছে। অথচ আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে গঠিত বিএনপি নামক দলটি ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে এখনো নিশ্চুপ রয়ে গেছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় মানবতাবিরোধী গণহত্যা চালালেও বিশ্ববাসী জানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব এই অপকর্মের প্রত্যক্ষ সহযোগী ও ইন্ধনদাতা। এই বিদেশি অপশক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যার সময়েও তাদেরকে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা করে মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধের কলঙ্কজনক কালো অধ্যায়ের রূপকার হিসেবে কলকাঠি নেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির জন্য বিশ্বনেতাদের তাগিদ দিয়েছেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, যারা জোর গলায় মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের ইন্ধন ও প্রশ্রয়ে সারাবিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এটা কথিত সভ্য দেশগুলোর ললাটে কলঙ্কের চিহ্ন হয়ে আছে। এই চিহ্ন মুছতে হলে তাদেরকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় স্বীকার করে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।