বঙ্গবন্ধুর দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ান মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
আনোয়ারায় বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক এবং সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে একদিকে যেমন সংসারের দায়িত্ব পালন করেছেন অন্যদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয়টি মাস অসীম সাহস, দৃঢ় মনোবল ও ধৈর্য্য নিয়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। এই সময়টায় অনেকটা বন্দিদশায় কেটেছে তাঁদের। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এরপর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ান মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ অসহায় ও দুস্থ নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ কালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা অনেক বীরাঙ্গনাকে বিয়ে দিয়ে সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন জীবন দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর বীরাঙ্গনাদের উদ্দেশ্যে বঙ্গমাতা বলেছিলেন, আমি তোমাদের মা। এই বীরাঙ্গনা রমণীদের জন্য জাতি গর্বিত। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ের নারীনেত্রীদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁর মহত্ত্ব, ত্যাগ, প্রজ্ঞা ও নির্ভীকতা তথা এই মহীয়সী নারীর জীবনী চর্চা করলে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ সম্ভব। বঙ্গমাতার কাছে সহযোগিতা চেয়ে কেউ কখনো খালি হাতে ফিরে যায়নি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, এইচ.এম নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক, নাজিম উদ্দীন ছোটন, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিম দাশ রাহুল, আরব আমিরাত আতাউর রহমান খান কায়সার স্মৃতি সংসদের সভাপতি আবু তৈয়ব রাসেল, আবদুর রহিম প্রমুখ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।