চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে আবারও দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত ২৮ অক্টোবর উদ্বোধনের পর এ নিয়ে টানেলের ভেতর-বাইরে সাতবার দুর্ঘটনা ঘটলো।
সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে টানেলের ভেতরে একে একে চারটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। আহত হয়েছে পাঁচজন। এতে টানেলের ডেকোরেশন বোর্ড ভেঙে যায় ও অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
টানেল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত সন্ধ্যায় একটি মাইক্রোবাস পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্তের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পেছন থেকে একটি প্রাইভেট কার ওই মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে আরও দুটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি ও টানেলের ভেতরের টিউবের পাশে আঘাত হানে। এতে টিউবের ডেকোরেশন বোর্ড ভেঙে যায় এবং অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর টানেলের নিরাপত্তাকর্মী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তাঁদের মধ্যে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় এমদাদ (৩৬) নামের একজনকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে এখনও পর্যন্ত অপর আহতদের নাম জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর চারটি গাড়ি জব্দ করি এবং আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে পাঠাই।’
গত তিন মাসে টানেলের ভেতরে-বাইরে সাতটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। গত ৩০ জানুয়ারি ভোরে টানেলের সংযোগ সড়কের আনোয়ারা প্রান্তে ট্রাকের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহী নিহত হন। এর আগে ১৮ জানুয়ারি সকালে টানেলের ভেতর চাকা ফেটে পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয় টানেলের টিউবে।
১৬ জানুয়ারি সকালে টানেল সড়কের বৈরাগ এলাকায় দ্রুতগতির মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিকিউরিটি পোস্ট ভেঙে দায়িত্বরত একজন নৌবাহিনীর সদস্যসহ সাতজন আহত হন। গত বছরের ১০ নভেম্বর টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে ওয়াই জনশন–সংলগ্ন এলাকায় বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন সকাল ছয়টায় সর্বসাধারণের গাড়ি চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেওয়া হয়।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।