বঙ্গোপসাগরে এমভি আব্দুল্লাহ

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পৌঁছালে সেখানে কয়লা খালাস শুরু হবে। তারপর আসবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোগরে।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন এমভি আব্দুল্লাহর মালিক পক্ষ কেএসআরএম’র মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১০ মে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করেছে এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজ প্রথমে কুতুবদিয়া চ্যানেলে যাবে। সেখানে কয়লা খালাস করে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোগরে আসবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাহাজ কুতুবদিয়া চ্যানেলে প্রবেশের পর নাবিকদের সেখান থেকে আরেকটি জাহাজে করে চট্টগ্রামে আনা হবে।

এর আগে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।

এসআর শিপিং দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিপিং কোম্পানি। তারা সমুদ্রগামী বাণিজ্য জাহাজ পরিচালনা করে। ৪৫ হাজার ৬৫৩ ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ওজনের বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহর মোট দৈর্ঘ্য (এলওএ) ১৮৫ দশমিক ৭৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩০ দশমিক ৪ মিটার।

গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাবিকরা মুক্ত হন দস্যুদের কবল থেকে। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ফুজাইরা বন্দর যায়। সেখান থেকে জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ১ মে চট্টগ্রামের পথে রওনা দেয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।