বরেণ্য রাজনীতিবিদ সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী

বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি)।

তিনি ২০১৯ সালের এই দিনে তিনি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার স্মরণে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন হবে।

সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ‘সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি পরিষদ’।

এদিকে সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে সৈয়দ আশরাফের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১ জানুয়ারী ১৯৫২। তিনি মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য তিন জাতীয় নেতার সাথে আশরাফুলের পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হলে সৈয়দ আশরাফুল যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং লন্ডনের হ্যামলেট টাওয়ারে বসবাস শুরু করেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পদকের দায়িত্বপালন করা সৈয়দ আশরাফ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি দেশে ফিরেন।

তিনি কিশোরগঞ্জ-৩ আসন থেকে সপ্তম ও অষ্টম, কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এর পূর্বে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দ আশরাফুল ব্রিটিশ ভারতীয় সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের শীলা ঠাকুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শীলা লন্ডনে শিক্ষকতা করতেন এবং ২৩ অক্টোবর ২০১৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আশরাফুল-শীলা দম্পতির একমাত্র মেয়ে রীমা ইসলাম, যিনি লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন।

২৪ অক্টোবর ২০১৭ সালে সৈয়দ আশরাফুলের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি প্রায়ই অসুস্থ হন। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। নভেম্বর ২০১৮ সালে তার ফুসফুসের ক্যান্সার ৪র্থ ধাপে পৌঁছে বলে জানান চিকিৎসকরা। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ৬ জানুয়ারি ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।