কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পূণ হয়েছে । গত ২০০৮ সালে দেশে ভুট্টা উৎপাদন হয়েছিলো ৬ লাখ মেট্রিক টন। এ বৎসর দেশে ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে ৬৭ লাখ মেট্রিক টন । গত ২০০৮ সালে দেশে সবজি উৎপাদন হয়েছে ৩০ লাখ মেট্রিক টন । এ বৎসর দেশে সবজি উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ মেট্রিক টন। দেশের কোন এলাকায় কোন মানুষ অনাহারে নেই ।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে রাউজান কালেজ মাঠে পরিবেশ রক্ষায় ৫ লাখ গাছের চারা বিতরণ ও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উদ্যোশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসার পর সনাতনী সম্প্রদায়ের অনুসারীদের বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের হত্যা করেছে। দেশের মধ্যে বিএনপি জামাত জোট সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। আওয়ামী লীগকে কোন সভা সমাবেশ করতে দেয়নি। সভায় গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায়। গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেচেঁ গেলেও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে পারে এমন কোনো শক্তি নেই। বিএনপির নৈরাজ্য মোকাবিলা করবে প্রশাসন। যেকোনো মূল্যে বিএনপির অরাজকতা মোকাবিলা করতে হবে। বিএনপিকে চরম মূল্য দিতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা সুসংগঠিত। বিএনপি সমালোচনাই করে যাচ্ছে। এখন কোরাস গাইছে। তারা দেশকে সন্ত্রাসের মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। রেললাইন তুলে ফেলেছে। খালেদা জিয়া বলেছিল-ঘরে ফিরে যাবে না। নব্বই দিন একটানা হরতাল করেছিল। এখন ভয় দেখাচ্ছে হরতাল করবে। আমি মনে করি না, তারা কবর থেকে উঠে আসতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, রাউজান উপজেলার মধ্যে রাউজানের এমপি ফজলে করিম চৌধুরী ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একবার রাউজানে নিয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী রাউজানের সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও ব্যাপক উন্নয়ন দেখে অভিভুত হবেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বশর মোহাম্মদ ফখরুজ্জমানের সভাপতিত্বে ও রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত ৫ লাখ গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, জ্ঞান জ্যোতি হত্যাকাণ্ডের পর মাননীয় মন্ত্রী রাউজান এসেছিলেন। আজ ২০ বছর পর এসেছেন। আমরা ৫১ রকমের পাঁচ লাখ চারা লাগাব। বেশিরভাগ ফলের চারা। আমরা যা করবো তা আরেকজন ফলো করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবদুল ওহাব ।অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চারা বিতরণ কর্মসুচী অনুষ্ঠানের পুর্বে কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। পরে রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ঢালার মুখ এলাকায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং সেখানে গাছের চারা রোপণ করেন।
এদিন কাঁঠাল, চালতা, আম, নারিকেল, বাতাবি লেবু, আমড়া, জামরুল, হরীতকী, বহেড়া, গাব, লটকন, আমলকী, কাঠবাদাম, মিষ্টি তেঁতুল, আতাসহ প্রায় ৫১ প্রজাতির ৫ লাখ চারা রোপনের উদ্দেশ্যে বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।