বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে পহেলা বৈশাখের প্রাণের উৎসবে মেতে ওঠে ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান এবং সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া।
আলপনা ও রঙ-বেরঙের অরিগ্যামিতে সাজানো ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই ছিলো উৎসবের আমেজ। সকাল ১১টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালার। এছাড়া গান, নাচ আর আবৃত্তিসহ আরো হরেক রকমের বিচিত্র আয়োজনে মেতে ছিলো সবাই। ফ্যাকাল্টি ও শিক্ষার্থীরা একই মঞ্চে, একই সঙ্গে অংশ নিয়েছেন নানা কার্যক্রমে।
উপাচার্য তার বক্তব্যে বাংলা সন প্রচলনের ইতিহাস টেনে এনে বলেন, মুঘল সম্রাট আকবর বঙ্গাব্দের প্রচলন করেন। বাংলায় এই নতুন বছরের মানে হলো নতুন ফসল বোনা। অর্থাৎ বর্ষবরণ মূলত নতুন কিছু শুরুর উৎসব। জীবন ও যাপনে নতুনত্ব আনাই হলো এই উৎসবের অন্তর্নিহিত অর্থ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, বাংলা নববর্ষের প্রধান দিক হলো এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বিশ্বায়নের এই যুগে জাতিগত বিশেষত্ব ধরে রাখা যেখানে কঠিন হয়ে পড়ছে, সেখানে নিজেদের মৌলিকত্ব ধরে রাখতে আমাদের ঐতিহ্যকে আরো নিবিড়ভাবে আকড়ে ধরতে হবে।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. মো. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রক্টর মো. আসাদুজ্জামানসহ ফ্যাকাল্টি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।