বাঁশখালীতে শতবর্ষী খাল ভরাট করে কারাগারে দখলদার

বাঁশখালীর শীলকুপ ইউনিয়নের মোহাব্বত পাড়ায় খাল দখল ও ভরাট করার অভিযোগে মো. ফয়জুল্লাহ (৫১) নামের এক ব্যক্তিকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ফয়জুল্লাহ দক্ষিণ জলদীর বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টায় বাঁশখালীর সহকারী কমিশবার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট এই দণ্ডাদেশ দেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, সরেজমিনে দেখা যায়,দোষী ব্যাক্তি খালে অবস্থিত কালভার্টের নিচে ও সামনের দিকে পুরোপুরি ভরাট করে পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। খালের উপর তিনি স্থাপনাও তৈরী করেছেন। পাবলিক ইজমেন্ট দখল করায় স্থানীয় জনগণের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছিল ও তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ আসে। যার ফলে এ অভ্যোগ চাক্ষুষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, সরকারী খাস জমি ও পাবলিক ইজমেন্টসহ অবৈধভাবে জমি দখলকারীদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পাবলিক ইজমেন্ট দখল করে খাল ভরাট না করতে বারবার নির্দেশনার পরও তিনি খাল ভরাট করেছন। যা সরকারী আদেশ অমান্য করা। যার ফলে তাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, প্রধান সড়ক হয়ে মনছুরিয়া বাজার হতে জালিয়াখালী নতুন বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়কের অদূরে মোহাব্বত আলী পাড়ার পূর্ব দিকে ব্রিজ দিয়ে বয়ে যাওয়া শতবর্ষী শীলকূপ খালটি জালিয়াখালী খালের সাথে সংযুক্ত। এ শতবর্ষী খাল দিয়ে বর্ষাকালে পূর্ব-মনকিচর এলাকার অধিকাংশ চাষীদের ও মোহাব্বত আলীপাড়ার ৫ শতাধিক পরিবারের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। এটি একমাত্র বিকল্প খাল।

ফয়েজুল্লাহ নামের দণ্ডিত ওই ব্যক্তি পাকা ভবন নির্মাণ করছিলেন খালটিতে। এতে এলাকাবাসী বাধা দিলে তিনি অভ্যন্তরীণ সড়ক বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেন। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ঘটনাস্থলে গিয়ে এই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এই দাণ্ডাদেশ দেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।