চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুরের লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। যদিও পুরোপুরি না পাকায় বাজারে লিচুর আমদানি কম। শনিবার থেকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে লিচু আনতে শুরু করেছেন।
লিচু কিনতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভিড় করছেন পথচারীরাও। আকার অনুসারে একেকটি লিচু এক থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, বাঁশখালীর লিচু সরবরাহ হয় সারা দেশে। তাই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লিচু চাষীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, সাধনপুর, পুকুরিয়া ও বৈলছড়ি এলাকার কয়েক কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকায় ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিকভাবে লিচুর চাষাবাদ হয়। সড়কের পাশে, বাড়ির উঠানে ও লোকালয়ে লিচুর বাগান করা হয়েছে।
আকারে মাঝারি হলেও অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলাগুলোতে কালীপুরের লিচুর নামডাক আছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৭৫০ হেক্টর বাগানে লিচুর চাষ হয়েছে। স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উন্নত জাতের বোম্বাই, চায়না-৩ ও মোজাফফর লিচুর চাষাবাদ করা হয়।
আজ বধুবার উপজেলার কালীপুর স্কুল গেটে দেখা যায়, সড়কের পাশে খুচরা ব্যবসায়ীরা লিচু বিক্রি করছেন। স্কুলের মাঠের উত্তর-পূর্ব কোণে পাইকারি দরে লিচুর বেচাকেনা চলছিল। এর আগে কালীপুরের পাহাড়ে লিচু বাগানে গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা লিচু পাড়তে শুরু করেছেন। তবে অধিকাংশ গাছের লিচু এখনো পাকেনি।
লিচু ব্যবসায়ী মো. মোস্তাক বলেন, ‘আমি তিন লাখ টাকা দিয়ে একটি বাগান কিনেছি। লিচু অল্প অল্প পাকতে শুরু করায় তা সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। বাজার এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি।’ লিচু বাগানের মালিক মো. আবছার বলেন, ‘এখন অল্পসংখ্যক লিচু পেকেছে। সপ্তাহখানেক পর পুরোদমে লিচু বিক্রি করতে পারব।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, বাজারে আসতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল লিচু। ফলটি পুরোপুরি বাজারে আসতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কালীপুরের লিচু রসাল ও টসটসে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে কালীপুরের লিচুর নামডাক রয়েছে। বাজারে এর চাহিদাও ভালো। চাষিরা এবার লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।