বাঘাইছড়িতে আগুনের পুড়ে ছাই ৫ বসতঘর

বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি বসতঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। এতে আনুমানিক ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরিন আক্তার, বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির, বিজিবির প্রতিনিধি দল, উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতারা এবং দিঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের পাশে দাড়ানোর আশ্বাস দেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি নেতা মো. ওমর আলী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে রাতের খাবারের জন্য ৫ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। এদিকে, রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আগামীকাল ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন ইউএনও শিরিন আক্তার।

আগুনে সর্বস্ব হারানো এক স্থানীয় বাসিন্দা ইরফান বলেন, সব শেষ হয়ে গেল! চোখের সামনে ঘর পুড়তে দেখলাম, কিন্তু কিছুই করতে পারলাম না। আমাদের এখানে ফায়ার সার্ভিস থাকলে অন্তত এত বড় ক্ষতি হতো না।

অন্য এক ক্ষতিগ্রস্ত আজগর আলী বলেন, আমাদের ঘর, চাল-ডাল, পোশাক সব পুড়ে গেছে। এখন কোথায় থাকব, কী খাব, কিছুই বুঝতে পারছি না। দ্রুত সরকারি সাহায্য দরকার।

স্থানীয়রা জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলায় এখনো নিজস্ব কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই। ফলে প্রতিবার অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয় না। দিঘিনালা বা রাঙামাটি থেকে ফায়ার সার্ভিসের দল আসতে দেরি হওয়ায় আগুনের ভয়াবহতা আরও বাড়ে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে বাঘাইছড়িতে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসী দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে। প্রতিবার অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিস আসতে বিলম্ব হয়, ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়। স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের জন্য দ্রুত সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।