বান্দরবান সদর উপজেলার সবচেয়ে কৃষি উৎপাদিত এলাকা গোয়ালিয়া খোলা। জেলাজুড়ে কৃষি উৎপাদনের জন্য সুনাম রয়েছে এই এলাকাটির। এই এলাকার উৎপাদিত সবজি ও কৃষিপণ্য জেলা শহরের চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়ও। তবে ইতিমধ্যে জেলার প্রবাহমান সাঙ্গু নদীতে বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে নদী গহ্বরে বিলিন হয়েছে মধ্যম গোয়ালিয়া খোলা এলাকার এক তৃতীয়াংশ কৃষি জমি ও বসতবাড়ি। অবশিষ্ট ভাঙ্গন ঝুঁকিতে থাকা জমিগুলো রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, সম্প্রতি বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বাস্তবায়নে ১১৯ মিটার নদীর তীরজুড়ে বালি ভর্তি জিওটেক্সটাইল ব্যাগের মাধ্যমে নদীর তীর রক্ষায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রক্ষা পেয়েছে প্রায় ১০০ একর এরও বেশি আবাদি জমি।
স্থানীয় বাসীন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আমার জন্ম ও পৈতৃক ভিটা এখন নদীর গহ্বরে। নতুন যে ঘরটি করেছি ভাঙ্গনের কারণে নদী সেটিরও কাছাকাছি চলে এসেছে। সম্প্রতি বাপাউবোর বাস্তবায়নে তীর রক্ষায় বালি ভর্তি জিওটেক্সটাইল ব্যাগ দেওয়ার ফলে রক্ষা পেয়েছে আমারসহ অনেকের বসতভিটা ও চাষের জমি।
এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এবং বাকি ঝুঁকিপূর্ণ গোয়ালিয়া খোলাসহ এলাকাগুলোতেও এই ধরণের ব্যাগ বসিয়ে ভাঙ্গন রোধের অনুরোধ জানান তিনি।
বান্দরবান সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বর্ষায় এই এলাকার নদীর তীর ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হন এলাকাবাসী। এরই প্রেক্ষিতে নদীর তীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে বাপাউবো। বাস্তবায়নকৃত ভাঙ্গন প্রকল্পের কারণে প্রায় ১০০ একরেরও বেশি জমি নদী ভাঙ্গন হতে রক্ষা পেয়েছে এবং ভাঙ্গন ঝুঁকিতে থাকা বাকি অংশে এরূপ ব্লক দেওয়া হলে হাজারেরও অধিক আবাদি জমি নদী ভাঙ্গন হতে রক্ষা পাবে বলে জানান তিনি।
বান্দরবান পানি উন্নয়ন রোর্ডের (বাপাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে নদীর তীর রক্ষায় কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয়দের চাহিদার প্রেক্ষিতে ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ সালে প্রাপ্ত বরাদ্দে মোট ১১৯ মিটার অংশে যথাযথ মান অনুযায়ী নদীর তীর রক্ষা কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বরাদ্দ পেলে আরও কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।