বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ আহত ১২

বান্দরবানের লামা-আলীকদম সড়কের রেপারপাড়া কেরারঝিরি এলাকায় মাহিন্দ্র দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকি ৬ জনকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলীকদম চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপারপাড়া কেরারঝিরি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আহত শিক্ষার্থীরা সবাই চৈক্ষ্যং পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রী। সবাই স্কুল শেষে মাহিন্দ্র করে চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সিবাতলী এলাকায় বাড়ি ফিরছিল। এছাড়া গাড়িতে যাত্রী হিসাবে আরও কয়েকজন নারী-শিশু ছিল। দুর্ঘটনাস্থল থেকে লামা হাসপাতাল কাছে হওযায় তাদের এখানে আনা হয়। এসময় আহত, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে আসে।

লামা হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন, লিজা আক্তার (১৫), মো. জীবন (১৩), শেফুফা আক্তার (১৪), জান্নাত আক্তার (১৬), আবু বক্কর (২), মো. শান্ত (১২), মো. রাজু (১২), জোসনা বেগম (২০) ও মো. শামীম (১৭) ড্রাইভার। আহতরা সবাই চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সিবাতলী এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হওয়ায় শিক্ষার্থী মো. রাজু, মো. শান্ত ও ড্রাইভার মো. শামীমকে চমেকে পাঠানো হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থী মো. জীবন বলেন, স্কুল ছুটি হলে তারা রেপারপাড়ি বাজার থেকে মাহিন্দ্র করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গাড়িটি খুব জোরে চালাচ্ছিল ড্রাইভার। রেপারপাড়া বাজার থেকে একটু সামনে এসে কেরারঝিরি নামকস্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাহিন্দ্রটি উল্টে যায় এবং সবাই চাপা পড়ে।

মাহিন্দ্রার অপর যাত্রী জোসনা বেগম বলেন, ছোট বড় মিলে ড্রাইভার সহ আমরা গাড়িতে ১৪ জন ছিলাম। অল্প বয়সের ছোট ছেলে গাড়ি চালাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও অদক্ষ ড্রাইভার হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

লামা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. শহীদুল ইসলাম বলেন, ৪ জন ডাক্তার ও ৫ জন সহযোগীর একটি মেডিকেল টিম দ্রুত আহতদের চিকিৎসা প্রদান করি। গুরুতর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেকে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকাটি আলীকদম উপজেলায় হওয়ায় আলীকদম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।